• মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার / ১৮ Time View
Update : সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫

 

ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে টানা ১০ দিনের ছুটিতে সিলেটের পর্যটন এলাকাগুলো যেন উৎসবের শহরে রূপ নিয়েছে। জাফলং, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, মাধবকুণ্ড, ভোলাগঞ্জ, লালাখাল, সাদাপাথরসহ সিলেট বিভাগের জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলোতে ভিড় করছেন হাজারো মানুষ।

টানা ছুটিকে ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা ছুটে আসছেন সিলেটে। বিশেষ করে ২য় দিন থেকে পর্যটন এলাকায় চাপ বাড়তে শুরু করে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে জাফলংয়ে বেড়াতে আসা শিক্ষিকা সামিয়া আক্তার বলেন, “সারাবছর ব্যস্ততায় কাটে। এই টানা ছুটিটা আমাদের জন্য সোনার হরিণের মতো। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে প্রকৃতির কাছে একটু সময় কাটাতে সিলেট চলে এসেছি।”

স্থানীয় রিসোর্ট, গেস্ট হাউজ এবং হোটেলগুলোর অধিকাংশই ঈদের আগেই বুকিং হয়ে গিয়েছিল। অনেক পর্যটককে বাধ্য হয়ে ভিন্ন জায়গায় রাত্রিযাপন করতে হচ্ছে। জনপ্রিয় রিসোর্টগুলোর ব্যবস্থাপকেরা জানিয়েছেন, ঈদের ১০ দিনের ছুটিতে তারা সর্বোচ্চ সংখ্যক অতিথি গ্রহণ করছেন এবং কর্মীদের অতিরিক্ত ডিউটি চালু করা হয়েছে।

এদিকে, অতিরিক্ত পর্যটকের ভিড়ে কোথাও কোথাও যানজট ও কিছু অসন্তোষজনক পরিস্থিতিও দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন।

সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, “পর্যটন এলাকার ভিড় সামলাতে ও সেবার মান বজায় রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ও ভ্রমণ সুবিধা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, পরিবহন নিয়ন্ত্রণ এবং মেডিকেল সহায়তা ব্যবস্থা সক্রিয় রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, পরিবেশবাদীরা পর্যটকদের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও সচেতন আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন।

টানা ১০ দিনের ছুটিকে ঘিরে সিলেটের পর্যটন খাত যে প্রাণ ফিরে পেয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকদের মতে, এই ছুটি অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category