প্রথম ঘণ্টায় যেভাবে সাজঘরে ফিরলেন তিন ব্যাটার, তাতে আশঙ্কা জাগল আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয়ের। তবে রান খরা কাটিয়ে প্রিয় ভেন্যুতে জ্বলে উঠলেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে সঙ্গী করে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গড়লেন মজবুত এক জুটি, যা সফরকারীদের চাপ কাটিয়ে ক্রমেই নিয়ে গেল শক্তিশালী অবস্থানে। দুজনই করলেন সেঞ্চুরি, আর বাংলাদেশকে এনে দিলেন বড় স্কোরের ভিত।
গল টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের ৯০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৯২ রান। ১৩৬ রানে অপরাজিত শান্ত, আর শেষ বেলায় তিন অঙ্কে পা রাখা মুশফিকুরের নামের পাশে রান ১০৫।
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে বাংলাদেশের বড় চিন্তার জায়গা ওপেনিং পজিশন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ সিরিজে সেঞ্চুরি জুটি গড়া শাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় পারেননি ফর্ম টেনে নিতে। ১০ বলে শূন্য রানে ফেরেন বিজয়। এরপর দ্রুতই শাদমান ইসলাম (১৪) ও মমিনুল হক (২৯) উভয়কেই শিকার বানান থারিন্দু রথনায়কে, বাংলাদেশের স্কোর দাঁড় করায় ৩ উইকেটে ৪৫।
শান্ত রানে থাকলেও লম্বা সময় ধরে ছন্দহীন মুশফিকুর রহিমের জন্য তাই চ্যালেঞ্জ ছিল শুরুর এই চাপ সামাল দেওয়ার। প্রথম দিনের উইকেটের মতোই ছিল ব্যাটারদের জন্য সহায়ক কন্ডিশন, স্পিন ধরছিল সীমিত পরিসরে। ফলে দেখেশুনে খেলে ধীরে ধীরে দলকে ভালো অবস্থানে নেওয়ার কাজটা করেন শান্ত ও মুশফিক।
উইকেটহীন দ্বিতীয় সেশনে হয়ে যায় জুটির শতক। প্রতিপক্ষকে সেভাবে সুযোগ না দিয়ে দুই ব্যাটার এগিয়ে যান সেঞ্চুরির দিকে। দিনের একদম শুরু থেকেই শান্ত ছিলেন বেশ সাবলীল। স্পিন সামলেছেন দারুণ সব সুইপ শটে। আগ্রাসী শটে পেসারদেরও সামলেছেন দক্ষতার সাথে।
অন্যদিকে ফর্মে ফেরার লড়াইয়ে থাকা মুশফিক বাউন্ডারির সিঙ্গেলসেই রান বের করেছেন বেশি। দুজনের মধ্যে প্রথমে শতক তুলে নেন শান্ত, যা টেস্টে তার ৬ষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। আর ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর প্রথম শতক।
নার্ভাস নাইন্টিনে বেশ কিছুটা সময় আটকে থাকা মুশফিকুর অধিনায়ককে অনুসরণ করে দিনের খেলা শেষের কিছু আগে সেঞ্চুরির দেখা পান। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের এটি টেস্টে ১২তম সেঞ্চুরি। তিনি ও শান্ত মিলে চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন আছেন ২৪৭ রানের জুটিতে।