• রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

যে কোন কিছুর বিনিময়ে আগামীকাল ঢাকায় মহাসমাবেশ করতে চায় জাতীয় পার্টি

ডেস্ক রিপোর্ট / ১৭৮ Time View
Update : শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪

দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি থেকে সরে আসবে না জাতীয় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জীবন দিয়ে হলেও জাতীয় পার্টি আগামীকাল শনিবার মহাসমাবেশ করবে।

বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের দুষেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

গতকালে হামলার ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা আগামীকাল (২ নভেম্বর) একটি সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম, সেই আয়োজনকে ঘিরে গতকাল রাতে ছাত্রজনতার ব্যানারে ছাত্র অধিকার পরিষদের একজন নেতা বেনিয়ামিন মোল্লার নেতৃত্বে একটি দল জাতীয় পার্টি অফিসে ভাঙচুর করেছে, আমরা এর তীব্র ও নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। আমরা জানতে পারি, পরে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মনির, ইসমাইল, আনোয়ারের নেতৃত্বে আরেকটি দল আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করে।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমরা মহাসমাবেশ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছ থেকে বৈধভাবে অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একটি কুচক্রী মহল আগামীকালের যে মহাসমাবেশ নির্ধারিত ছিল, সেটা নস্যাৎ করতে তারা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করেছে। জাতীয় পার্টি জীবন দিয়ে হলেও সেই সমাবেশ করবে।’

বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করা এবং সেই সরকারের অংশীদার হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে চলমান রাষ্ট্র সংস্কার সংলাপে জাতীয় পার্টিকে ডাকছে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ নিয়ে রংপুরে সমন্বয়কদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতারা।

এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় সমাবেশের ডাক দেয় জাতীয় পার্টি। এর প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যার দিকে জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টিএসসি থেকে মশাল মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে আসেন তাঁরা। জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ের পরিকল্পনা ছিল। যেন ২ নভেম্বর জাতীয় পার্টি মহাসমাবেশ করতে না পারে। মিছিলটি পার্টি অফিসের সামনে চলে এলে দলটির নেতা-কর্মীরা বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। এ সময় সংঘর্ষে ১০–১৫ জন আহত হন। এরপর সমন্বয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জাপার কার্যালয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। একপর্যায়ে ধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা জাতীয় পার্টির অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়, ভাঙচুর করে এবং এরশাদের ছবিসহ লোগো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেলে।

আজ সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। আমরা মহাসমাবেশ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছ থেকে বৈধভাবে অনুমতি নিয়ে আমরা সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একটি কুচক্রী মহল আগামীকালের যে মহাসমাবেশ নির্ধারিত ছিল সেটাকে নস্যাৎ করতে তারা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করেছে। জাতীয় পার্টি জীবন দিয়ে হলেও সেই সমাবেশ করবে।’

জিএম কাদের বলেন, ‘সংবিধানের ৩৭ এবং ৩৮ এ দুটি ধারায় রাজনৈতিক দল হিসেবে ও এ দেশের নাগরিক হিসেবে সব ধরনের সভা সমাবেশ করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে জাতীয় পার্টির। সংবিধান আমাদের সেই অধিকার দিয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম ভূঁইয়া, দলটির, অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর বিভাগ) ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category