• বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন

বিয়ানীবাজারে ব্যাটারিচালিত টমটমের কারণে বাড়ছে লোডশেডিং

সামিয়ান হাসান / ১৯ Time View
Update : শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

 

বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে টমটম কিংবা ব্যাটারী চালিত রিক্সার গ্যারেজ। এসব গ্যারেজে ব্যাটারি চার্জ দেয়া হয়। একেকটি গ্যারেজে ৫ থেকে ৮টি পর্যন্ত টমটম রাখা হয়। কোনকিছুর ধার না ধেরে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে এমন অসংখ্য অবৈধ গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট। প্রতিটি গ্যারেজে রয়েছে চার্জ দেওয়ার সুবিধা। চার্জে অনেক বিদ্যুৎ লাগে। গ্যারেজগুলোর বিদ্যুতের সংযোগ বৈধ না অবৈধ, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। পৌরশহর, বৈরাগীবাজার, বারইগ্রাম, চারখাই, দুবাগসহ উপজেলার অন্যান্য এলাকায় এ ধরণের দেড় হাজার চার্জিং পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে বলে একটি সূত্র জানায়। যার ফলে বিয়ানীবাজার উপজেলায় বাড়ছে লোডশেডিং।

গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, অতি ঝূকিপূর্ণ অবস্থায় গ্যারেজে গাদাগাদি করে টমটম ও ব্যাটারী চালিত রিক্সা চার্জ দেয়া হচ্ছে। অসংখ্য গ্যারেজের মাচায় রিকশাচালকদের রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থা রয়েছে। নিচে রিকশা বা অটোরিকশা রেখে চার্জ দেওয়া হয়। একটি গ্যারেজে গিয়ে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা সবাই অটোচালক। দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা জমায় অটোরিকশা চালান। কাউকে কাউকে অটোরিকশা নিয়ে বের হতে দেখা গেল। গ্যারেজটি দেখাশোনা করেন আলিম নামের এক যুবক।

আলিমের সঙ্গে কথা বলে ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল জায়গাজুড়ে তৈরি গ্যারেজে রশিতে রশিতে বিদ্যুতের তার ঝুলছে। কয়েকটি রিকশার ব্যাটারি চার্জে দেওয়া হয়েছে। আলিম বলেন, গ্যারেজের বয়স দুই বছর। গ্যারেজটি করেছেন রবিউল নামের এক ব্যক্তি। এখানে ১৫ থেকে ২০ জন মালিকের অটোরিকশা রাখা হয়। তিনি কেবল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন।

দেখা যায়, একেকটি গ্যারেজে ৩০ থেকে ৫০টি পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং চার্জিং পয়েন্ট রয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্কশপেও চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিছু এলাকায় কেবল চার্জ দেওয়ার জন্য চার্জিং পয়েন্ট খোলা হয়েছে। অধিকাংশ চার্জিং পয়েন্টে বিদ্যুৎ-সংযোগ নেওয়া হয়েছে আবাসিক লাইন থেকে, যা বিদ্যুৎ আইনের পরিপন্থী।

টমটম চালক ইদ্রিস বলেন, মালিকেরা অটোরিকশা কিনে দেন। এরপর জমা ও চালকের ব্যবস্থা গ্যারেজ করে। চালকেরা গ্যারেজেই থাকেন। তাঁরা জমার টাকা দিলে সেখান থেকে একটি অংশ গ্যারেজ ভাড়া ও চার্জের খরচ কেটে রেখে বাকি টাকা মালিককে দেওয়া হয়।

একটি গ্যারেজে অটোরিকশাচালক সাদ্দাম বলেন, তাঁরা ভাড়ায় রিকশা চালান। দিন শেষে গ্যারেজে ৪০০ টাকা দেন। চার্জ দেওয়া, রিকশার মেরামত সবই মালিক দেখেন। গ্যারেজে অনেক লাইন থাকে, কিছু মিটারও দেখেছেন। তবে এগুলো বৈধ না অবৈধ, তা তাঁরা জানেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category