সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হচ্ছে। গেলো কয়েকদিন থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় নদ নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। যার ফলে ৮টি বন্যা কবলিত ইউনিয়নের বাসিন্দারা এখন নিজ ঘরে নির্ভয়ে বাস করছেন। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যেসব পরিবার ছিলেন সেই পরিবারগুলো এখন নিজ ভিটায় গিয়ে উঠেছেন। যদিও বন্যায় তাদের ঘরবাড়ির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে তারপরও নিজ ভিটায় ফিরতে পেরে তারা আনন্দিত। এখন ক্ষতিগুলো পুষিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার পালা অসহায় সেসব পরিবারের।
গত বুধার থেকে কুশিয়ারা নদীর শেওলা ও অমলসীদ পয়েন্টে পানি কমেছে। নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কুশিয়ারা নদীর বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যায় ৬টায় ছিল শূন্য দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার। ১৮ ঘন্টা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি কমেছে শূন্য দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। গত ২ দিন পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির কারণে আবহাওয়া অফিসের কোন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে যেসব এলাকা ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল সেসব এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে বৃষ্টি না হওয়ায় বর্তমানে কবলিত এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্যার পানি নেমে যাবে বলে আশা ভুক্তভোগীদের।
পৌরসভার, কুড়ারবাজার, শেওলা, দুবাগ, মাথিউরা ও তিলপাড়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। শুধু তাই নয় সেসব ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামীন সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি হাওর অঞ্চলে থাকা বসতির লোকজন পানি বন্ধি হয়ে পড়েছিলেন। বর্তমানে সেসব এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকার জন্য উপজেলা প্রশাসন ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ২ মেট্রিক টন করে ২২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না বলেন, উপজেলায় বন্যায় পানিবন্ধি পরিবারের সংখ্যা ১ হাজার ৫শতটি। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সব এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।