• সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১২ পূর্বাহ্ন

বিয়ানীবাজারের যেখানে সিট ছাড়াই বিক্রি হয় কোরবানির পশু

সামিয়ান হাসান / ১৫ Time View
Update : শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫

 

মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিয়ানীবাজারের প্রাই অর্ধশতাধিক স্থানে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিয়ানীবাজার উপজেলায় ৮টি নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৮টি পশুর হাটের জন্য ইজারাদারদের কাছ থেকে দরপত্র আহবান করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়। নির্ধারিত সময়ে যাচাই-বাছাই শেষে সর্বোচ্চ টাকার বিনিময়ে এক বছরের জন্য কোরবানির হাটের লিজ নেয় ইজারাদাররা। তারপর মাঠকে সুন্দর করে প্রস্তুত করে পশু বিক্রির জন্য। এবার পিএইচজি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি গরু কিনতে হলে ইজারাদারদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা মূল্যের রসিদ নিতে হচ্ছে ক্রেতাদেরকে। শুধু পিএইচজি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ নয় বিয়ানীবাজার উপজেলার ৮ টি পশুর হাটে ৫০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত কিনতে হচ্ছে ইজারাদারদের কাছ থেকে। এই যখন অবস্থা ঠিক তখন ব্যাতিক্রম দেখা যাচ্ছে বিয়ানীবাজার উপজেলার কাকরদিয়ায় অস্থায়ী পশুর হাটে। সেখানে দূর দূরান্ত থেকে বিক্রেতারা পশু নিয়ে এসেছেন বিক্রি করার জন্য। ক্রেতারাও হাট ঘুরে দরদাম করে নিজেদের পছন্দের পশু কিনছেন। কিন্তু তাদেরকে আলাদা কোন রসিদ কিংবা সিটের জন্য টাকা দিতে হচ্ছে। যার ফলে ক্রেতা এবং বিক্রেতা দু’পক্ষই সন্তুষ্ট। পশুর হাটে আসা ক্রেতারা বলছেন, পশু কেনার পর সিট ভাবত বাড়তি টাকা দিতে হয় ইজারাদারকে। কিন্তু এই হাটে এরকম কোন সুযোগ নেই। পশু পছন্দ হলেই ক্রেতার কাছ থেকে সরাসরি কিনতে পারছি, আলাদা টাকা খরচ থেকে বাচলাম।

বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানির জন্য এই পশুর হাটে সিটের জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয় না সেজন্য অন্যান্য হাটের তুলনায় এই হাটে ক্রেতাদের উপস্থিতি যেমন বেশি তেমনিভাবে গরু এবং ছাগল বিক্রি হচ্ছে বেশি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category