সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার থানাবাজার-কালাইউরা-কাংলি সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যাত্রীরা এই প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সড়কের মধ্যখানে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত থাকার কারণে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। স্থানীয়রা দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার সংস্কার চেয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা দায়িত্বশীলদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। সর্বশেষ সিলেট-৬ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এর কাছে সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এই সড়ক দিয়ে বাধ্য হয়ে আমরা গাড়ি নিয়ে চলাচল করি। রাস্তায় গর্ত থাকার কারণে যাত্রীদের মারাত্মক দূর্ভোগে পড়তে হয়। পাশাপাশি কয়েক দিন পর পর গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। প্রচুর কাজ করাতে হয়। যে টাকা উপার্জন করি তা গাড়ির কাজেই শেষ হয়ে যায়। ভাঙাচোরা এই সড়ক দিয়ে সিএনজি নিয়ে যাতায়াত করার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিচ্ছিলেন রাহিম আহমেদ নামের একজন চালক। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চালক ও যাত্রীরা এ রকম নানা ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও যানবাহন চালকদের অভিযোগ, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করেন। তবে সড়কটির করুণ অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। স্থানীয়রা দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, থানাবাজার থেকে কালাইউরা হয়ে কাংলি পর্যন্ত প্রায় পুরো সড়কজুড়েই ছোট বড় গর্ত। ভারি যানবাহনের চাপে সড়কের অনেক অংশ দেবে গেছে। আবার কোথাও পিচ উঠে গেছে। সড়কের বিভিন্ন গর্তের বৃষ্টির পানি জমে গর্তগুলো আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
কালাইউরা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, বেহাল সড়কে চলাচল করতে গিয়ে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, যানচালক, ব্যবসায়ী-সবাই আজ ঐক্যবদ্ধ। আর কোনো অজুহাত আমরা মানব না। অবিলম্বে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।
জানা গেছে, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার থানাবাজার অংশটি বিয়ানীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে বিয়ানীবাজারের কাংলি, কালাইউরা গ্রামের মানুষের যাতায়াত করার পাশাপাশি বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর, দৌলতপুর এবং বড়লেখার কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন এই সড়ক দিয়ে। দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি সংস্কারের অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষের। সামান্য বৃষ্টি হলে ছোট ছোট গর্তে পানি জমে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়। এতে মুসল্লীরা নামায আদায় করতে মসজিদে যেতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সড়কটি সংস্কারের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, যা অনুমোদনের অপেক্ষায়। অনুমোদন পেলে এক-দুই মাসের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।