• শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

নুসূক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে আন নুসূক হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা

সামিয়ান হাসান / ২৩ Time View
Update : সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন এবং সেখানকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যুক্তরাজ্য থেকে পরিচালিত চ্যারিটি সংগঠন নুসুক ফাউন্ডেশন (রেজিষ্ট্রেশন নং: ১১৯০৩৭৭)। সম্প্রতি সংগঠনের উদ্যোগে এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার কাকরদিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান যুক্তরাজ্য প্রবাসী শফিকুর রহমান এর আর্থিক সহযোগিতায় নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ভাবনচুর এলাকায় আন নুসূক হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এই মাদ্রাসা ও এতিমখানার নির্মাণ কাজ শেষ হলে ভাবনচুর সহ আসপাশ এলাকার কয়েক শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী ইসলামী শিক্ষায় আলোকিত হবে। শুধু তাই নয় এখান থেকে ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শিক্ষার্থী যেমন নিজের ভবিষ্যত আলোকিত করতে পারবে তেমনি সমাজে দ্বীনি শিক্ষার প্রচার ও প্রসার ঘটাতে পারবেন বলে আসাবাদ ব্যাক্ত করেছেন দায়িত্বশীলরা।

এর আগে নুসূক ফাউন্ডেশন (রেজিষ্ট্রেশন নং: ১১৯০৩৭৭) এর অর্থায়নে মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ভাবনচুর এলাকায় আন-নুসূক জামে মসজিদ, রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার ঢুষমারার চর এলাকায় আন-নুসূক জামে মসজিদ এবং ঠাকুরগাঁও জেলার মাদারগঞ্জ পৌরসভার
পাইকপাড়া এলাকায় আন-নুসূক জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে আফ্রিকার দেশ উগাণ্ডায় আন-নুসূক জামে মসজিদ এর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আগামী মাসে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান নুসূক ফাউন্ডেশনের দায়িত্বশীলরা।

নুসূক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ম্যানেজার লেলিন হোসেন এর তত্ত্বাবধানে একদল যুবক দেশের যে সকল এলাকায় মসজিদ নেই সেগুলো এলাকা চিহ্নিত করে মসজিদ নির্মাণের জন্য সকল প্রকার কাজে সহযোগিতা করে আসছে।

এ বিষয়ে নুসূক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, নুসূক ফাউন্ডেশন মুলত একটি চ্যারিটি সংগঠন। আমরা এই সংগঠনের মাধ্যমে গৃহহীনদের ঘর নির্মানে সহযোগিতা করার পাশাপাশি অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। এরই ধারাবাহিকতায় নুসূক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী শফিকুর রহমান ভাই এর আর্থিক সহযোগিতায় আন নুসূক হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এই মাদ্রাসার নির্মাণ কাজ শেষ হলে সেখানে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীরা ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে। আমাদের এই প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category